ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

সোহাগের কবিতা : ভালোবাসার বিচার

বয়স বাইশ ছুঁই ছুঁই, তবু সমাজ বলে—‘তুমি এখনো প্রেমিক নও!’
কারণ সোনার চাকরির সিল নেই কপালে,
তোমার ভালোবাসার ওজন নেই বাজারে।

প্রেমিকার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন,
তার ছোট ছোট স্বপ্নগুলো আজ যোগ্য পাত্রের দোরগোড়ায়,
আমি কি তবে অযোগ্য?
শুধু এই সমাজের শর্তপত্রে স্বাক্ষর করিনি বলে?

 

তার চোখে যে স্বপ্নগুলো এঁকেছিলাম,
তার হাত ধরে যে ভবিষ্যতের ছবি আঁকতাম,
সব কি তবে মুছে যাবে এক ঘোষণায়—
‘তুমি বেকার, তোমার প্রেমের অধিকার নেই!’

তুমি কি জানো, ভালোবাসা?
এই সমাজ আমাদের অনুভূতির কোনো দাম রাখে না,
তারা জানে না, তোমার হাসিটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া,
তারা বোঝে না, তোমার স্পর্শই আমার সবচেয়ে দামি সম্পদ।

 

তুমি যদি একদিন ক্লান্ত হয়ে বলে দাও—
‘আর পারছি না, আমায় ভুলে যাও!’
আমি কি সত্যিই পারবো ভুলে যেতে?
নাকি তোমার স্মৃতির সাথে সমাজের নিয়ম ভেঙে,
আমি নিজেকেই ভেঙে দেবো?

চাকরি একদিন হবেই হয়তো,
কিন্তু সে কি অপেক্ষা করবে?
সমাজ কি দেখবে আমার ফাঁকা হাত?
নাকি প্রেমিক থেকে একদিন পাগল হয়ে যাবো?

আমি যদি ভিখারি হতাম,
সমাজের কাছে শুধু রুটি চাইতাম,
তবে তারা করুণা দিতো,
কিন্তু আমি প্রেম চাইলাম, তাই নিষেধাজ্ঞা!

 

তোমরা ভালোবাসাকে বন্দি করেছো,
টাকার খাঁচায়, সামাজিক শর্তে,
তবে শুনে রাখো—এই যুদ্ধ একদিন হবেই
এই সমাজের বিরুদ্ধে
এই অবিচারের বিরুদ্ধে!

তবে আজ শুধু বসে দেখি,
কেমন করে একদিন সমাজ আমার নাম দেয় পাগল,
আর আমি আমার ভালোবাসার কবর খুঁজি
এক টুকরো চাকরির বিজ্ঞপ্তির পাশে!

Tag :

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Update Time : ১২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

সোহাগের কবিতা : ভালোবাসার বিচার

Update Time : ১২:৩২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

বয়স বাইশ ছুঁই ছুঁই, তবু সমাজ বলে—‘তুমি এখনো প্রেমিক নও!’
কারণ সোনার চাকরির সিল নেই কপালে,
তোমার ভালোবাসার ওজন নেই বাজারে।

প্রেমিকার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন,
তার ছোট ছোট স্বপ্নগুলো আজ যোগ্য পাত্রের দোরগোড়ায়,
আমি কি তবে অযোগ্য?
শুধু এই সমাজের শর্তপত্রে স্বাক্ষর করিনি বলে?

 

তার চোখে যে স্বপ্নগুলো এঁকেছিলাম,
তার হাত ধরে যে ভবিষ্যতের ছবি আঁকতাম,
সব কি তবে মুছে যাবে এক ঘোষণায়—
‘তুমি বেকার, তোমার প্রেমের অধিকার নেই!’

তুমি কি জানো, ভালোবাসা?
এই সমাজ আমাদের অনুভূতির কোনো দাম রাখে না,
তারা জানে না, তোমার হাসিটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া,
তারা বোঝে না, তোমার স্পর্শই আমার সবচেয়ে দামি সম্পদ।

 

তুমি যদি একদিন ক্লান্ত হয়ে বলে দাও—
‘আর পারছি না, আমায় ভুলে যাও!’
আমি কি সত্যিই পারবো ভুলে যেতে?
নাকি তোমার স্মৃতির সাথে সমাজের নিয়ম ভেঙে,
আমি নিজেকেই ভেঙে দেবো?

চাকরি একদিন হবেই হয়তো,
কিন্তু সে কি অপেক্ষা করবে?
সমাজ কি দেখবে আমার ফাঁকা হাত?
নাকি প্রেমিক থেকে একদিন পাগল হয়ে যাবো?

আমি যদি ভিখারি হতাম,
সমাজের কাছে শুধু রুটি চাইতাম,
তবে তারা করুণা দিতো,
কিন্তু আমি প্রেম চাইলাম, তাই নিষেধাজ্ঞা!

 

তোমরা ভালোবাসাকে বন্দি করেছো,
টাকার খাঁচায়, সামাজিক শর্তে,
তবে শুনে রাখো—এই যুদ্ধ একদিন হবেই
এই সমাজের বিরুদ্ধে
এই অবিচারের বিরুদ্ধে!

তবে আজ শুধু বসে দেখি,
কেমন করে একদিন সমাজ আমার নাম দেয় পাগল,
আর আমি আমার ভালোবাসার কবর খুঁজি
এক টুকরো চাকরির বিজ্ঞপ্তির পাশে!