জিয়া, এরশাদের আমলে দেশের উন্নয়ন হয়নি, শেখ হাসিনা উন্নয়ন করেছেন : মন্ত্রী তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জিয়া এরশাদের সামরিক সরকার দেশ শাসন করেছে। তখন দেশে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর সাড়ে তিন বছরে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা আসে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উন্নয়ন বিষয়ক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। সারের সংকট নেই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০০৯ সালের আগে শিক্ষার হার ছিল ৪৫ শতাংশ, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ শতাংশে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। গ্রাম শহর হচ্ছে। গৃহহীনরা ঘর পেয়েছে। এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের আরও উন্নয়ন হবে। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন করতে হবে। সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিকল্প ধারাকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, বিকল্প ধারা ও আ.লীগ দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। মেজর মান্নান (লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য) আর আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকার কথা না।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, লক্ষ্মীপুর পৌর সভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল আমিন রাজু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুর উদ্দিন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।