নির্বাচিত হলে নিঝুম দ্বীপের আধুনিকায়ন করবো : মোহাম্মদ আলী।
নির্বাচিত হলে নিঝুম দ্বীপের আধুনিকায়ন হবে : মোহাম্মদ আলী এমপি।
সাইফুর রহমান রাসেল, নোয়াখালী : আমি এইবার নির্বাচিত হলে নিঝুম দ্বীপের আধুনিকায়ন হবে। নিঝুম দ্বীপকে নতুন করে সাজাবো । শুধু নিঝুম দ্বীপই নয়, ছোট বড় আরো দশটা স্পটকে আমি পর্যটন স্থান হিসেবে তৈরী করবো। হাতিয়াবাসীর প্রধান দাবি নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার দুপুরে হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া বাজারের নিজস্ব কার্যালয়ে গ্লোবাল টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সি-ট্রাক চালু করা হয়েছে এটি দু-তিন বছর ভালো ভাবে চলবে, তারপর সরকারী উদ্যোগে আবার নতুন করে চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
হাতিয়াবাসীর প্রধান দাবি বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও নদীভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনে কি ধরনের পদক্ষেপ নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুর নতুন চর জাগছে, বেড়িবাঁধও হচ্ছে, আরও হবে । তবে হাতিয়াবাসীর মুল সমস্যা নদী ভাঙ্গন সেটি রোধকল্পে ইতোমধ্যে সরকার চানন্দি ইউনিয়নের জন্য ৩১৫কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন কিন্তু নদী ভাঙ্গনে আরো বরাদ্ধ দরকার ইনশাআল্লাহ পর্যায়কমে সব হবে। সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন সারা বাংলাদেশে হচ্ছে, নোয়াখালীর হাতিয়াতেও হবে।
উলেখ্য , মোহাম্মদ আলী এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থন নিয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। এর পর ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদে একই আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টি সমর্থনে পুনরায় সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।